রাতের অন্ধকারে ইলিশ শিকারে নদীতে নামছে নৌকা বা ট্রলার নিয়ে। অবাধে ধরছে মা ইলিশ। ঢাকা থেকে নৌপথে বরিশাল ও ভোলা আসা যাওয়ার পথে এ দৃশ্য দেখা যায় সচরাচর।
স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে আবার কোথাও কোথাও তাদেরকে ম্যানেজ করে নদীতে ইলিশ ধরা চলে বলে অভিযোগ রয়েছে। নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে রাতের বেলায় নদীতে অভিযান পরিচালনা অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মুন্সীগঞ্জের পর ধলেশ্বরী থেকে শুরু করে পুরো মেঘনা নদী হয়ে মুলাদী এবং শিকারপুরের সন্ধ্যা নদীর মোহনা পর্যন্ত অপরদিকে ভোলার তেঁতুলিয়া নদীতে রাতে শত শত ট্রলারে চলে ইলিশ আহরণ। এসব নদীতে রাতের বেলায় চলাচলকারী একাধিক নৌযানের চালকদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ভোলার জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান জানিয়েছেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী মা ইলিশ রক্ষায় যা করণীয় ভোলা জেলা প্রশাসন তাই করবে।
অপরদিকে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান জানিয়েছেন, আইন অনুযায়ী শুরু থেকেই নদীতে দিনে এবং রাতে নৌ পুলিশের পাশাপাশি আনসার কোস্টগার্ড নিয়মিত টহল দেবে। এদের চোখ ফাঁকি দিয়ে রাতে বা দিনে কোনও দুর্বৃত্ত নদীতে ইলিশ মাছ ধরার চেষ্টা করলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম জানিয়েছেন, প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশের নিরাপদ প্রজননের লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) থেকে সারা দেশে বন্ধ হচ্ছে ইলিশ ধরা। আগামী ২২ দিন অর্থাৎ ২ নভেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত দেশের কোনও নদনদীতে ইলিশ মাছ ধরা যাবে না। নিষেধাজ্ঞা না মানলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, নিষিদ্ধ সময়ে যারা নদীতে মাছ ধরতে নামেন তারা সবাই মৎস্যজীবী নয়। তাদের নেপথ্যে পৃষ্ঠপোষক হিসেবে অনেক ধনী ও ক্ষমতাবান ব্যক্তি থাকে। ইলিশ সম্পদ রক্ষায় অতীতের মত এবারও এসব অসাধু ব্যক্তিদের ছাড়া দেওয়া হবে না। ইলিশ সম্পদ ধ্বংসকারী দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংশ্লিষ্ট জেলা-উপজেলায় নদীতে ড্রেজিং বন্ধে স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। ইলিশের নিরাপদ প্রজননের মাধ্যমে ইলিশ সম্পদ উন্নয়নে যা যা করা দরকার তা করতে হবে।