বিবিসি ওয়ান নিউজ
আরিফুল ইসলাম
জেলা প্রতিনিধি //
ভোলা সদর উপজেলা ভেলুমিয়া ইউনিয়ন ৪ নং ওয়ার্ডে, ৫ই আগস্ট এর পর থেকে চলছে চাঁদাবাজি। চাঁদা দিতে না পারলে ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও বসত বাড়ির এবং গাছ কর্তন ও জমি দখল করে নিচ্ছেন এক গ্রুপ সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজেরা।
তথ্যসূত্রে! জানা যায় গত ৩০এপ্রিল রোজ বুধবার সকাল ১০টায় ভেলুমিয়া মুক্তার খানের ছেলে কামাল খানের জমি জবর দখল করে ভেকু দিয়ে মাটি কাটেন এবং অবৈধভাবে ঘর নির্মাণের চেষ্টা করেন। ভেদুরিয়া ইউনিয়ন চররামেশ ১নং ওয়ার্ডের রাজা মিয়ার ছেলে বাদশা ও ফারুক এবং চরগাজীর মৃত্যু মুজাম্মেলের ছেলে খাইরুল ও শাকিল রাকিব সহ ভাড়াটিয়া ২০/২৫ জন মস্তান নিয়ে ওই জমি দখল করার চেষ্টা করেন।
কামাল খান জানতে পেরে থানায় অভিযোগ করেন, পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা যাচাই করে তাদের কাজ বন্ধ করে দেন।
ভুক্তভোগী কামাল খান বলেন, আমার বাবা ৬৯/৭০ এর ২৮২ খতিয়ান থেকে ১৫০ শতাংশ জমি সরকারের কাছ থেকে বন্দোবস্ত নেন, আমার বাবার কাছ থেকে আমরা ক্রায় সূত্রে মালিক হয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখল করে আচ্ছি।
গত ৫ আগস্টের পরে বিভিন্নভাবে আমার কাছে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তারা আমাদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও বাড়ির গাছপালা কেটে জমি দখল করার চেষ্টা করেন। পরে আমি থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ এসে সত্যতা যাচাই করে কাজ বন্ধ করে দেন।
প্রত্যক্ষদর্শী// আলাউদ্দিন, শামসুদ্দিন মেম্বার, শিল্পী আক্তার, নাজমা বেগম তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই জমি কামাল খান ভোগ দখলে আছেন। দীর্ঘদিন পরে হঠাৎ করে এক গ্রুপ লোক এসে মাটি কেটে জমিতে ঘর নির্মাণ করার চেষ্টা চালাচ্ছে,সেখানে পুলিশ এসে তাদের কাজ বন্ধ করে দেন। নাজমা বেগম বলেন বাদশা গ্রুপ প্রায় এসে আমাদের কাছে চাদা চাই, আমরা চাদা দিতে না পারলে আমাদেরকে মারধর করেন এবং কয়েকবার ওরা আমাদেরকে মারধর করেছেন। এবং কয়েকবার ওদের সাথে কাগজপত্র নিয়ে সালিশ মিমাংসা বসা বসি করেন, ওই সালিশে ওরা কোন কাগজ পত্র দেখাতে পারেনি।
অভিযুক্ত বাদশা মিয়াকে ফোন করলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। এই বিষয়ে আবুল খায়ের কে ফোন করলে তিনি বলেন আমাকে বাদশা মিয়া ঘর নির্মাণ করতে বলেছে। সেই জন্য আমি ঘড় তৈয়ারী করতেছি, পরে বাধা দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আমি ঘর উঠানো বন্ধ করে দিয়েছি, এই বিষয়ে আমি কিছু জানিনা