বিবিসি ওয়ান নিউজ
নিজস্ব প্রতিবেদন

ভোলা সদর উপজেলাধীন পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের কাজীরচর নামক এলাকায় ভূমিদস্যদের অত্যাচার অতিষ্ট এলাকাবাসী বলে জানান স্থানীয় জনগণ।
তথ্যসূত্রে জানা যায় পূর্ব কাজীর চর ৪ নং ওয়ার্ডে স্থানীয় জমির মালিকদের কাছ থেকে তিনের একাংশ জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে স্থানীয় প্রভাবশালী নুর উদ্দিন কয়াল গংদের সাথে দীর্ঘদিন যাবত মামলা মোকদ্দমা চলে আসছে বলে জানান ভুক্তভোগী পরিবার জমির মালিকগণ।

জমির মালিক মোহাম্মদ নূরে আলম হাজারী জানান আমার বাপ দাদার আমল থেকে এ জমিতে চাষবাস করে আসছি, হঠাৎ করে কুচক্র মহলের মোঃ নুরুদ্দিন কয়াল ও তার সাঙ্গু পাঙ্গু মিলে জমির তিনের একাংশ দাবি করে আসছে, যেই পক্ষ তিনের একাংশ জমি দিতে নারাজ হলে, তাদেরকে মারধোর সহকারে নানান ভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ আছে বলে তিনি সাংবাদিকদের কে জানান।

নিজেদের ক্রয়কৃত জমিতে ঘরবাড়ি তুলতে গেলেই নুরু উদ্দিন কয়াল ফারুক গন্ধের দিতে হচ্ছে মোটা অংকের চাঁদা না দিলে ঘরবাড়ির কাজে বাধাসহ নানান অপকর্মের সাথে জরিয়েদেন তারা। জমির মালিক ইয়াসমিন জানান আমি অনেক কষ্টে ৪৮ শতাংশ জমি ক্রয় করি এ থেকেও তিনের একাংশ জমি নুরুদ্দিন কয়াল ও তার সাঙ্গু পাঙ্গু আমাদের কাছ থেকে চাচ্ছে, আমি জমি দিতে অস্বীকার করলে আমাকে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় তারা এলোপাথাড়ি মারধর করেন।ও অবস্থায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা চিকিৎসার জন্য আমাকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন, কৃষ্ণ দত্ত ও নূরে আলম হাজারী আমার চিকিৎসারত অবস্থায় আমাকে দেখতে যান, এর ওই ধারাবাহিকতায় কৃষ্ণ দত্ত ও জমির মালিক নূরে আলম হাজারীকে পাশানোর জন্য তাদের নিজের মেশিনে তালা মেরে তাদের নামে বিভিন্ন সাংবাদিক দিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালায়, মোঃ নুর আলম হাজারী ও তার সহযোগী জমির মালিক কৃষ্ণ দত্ত, চাদার বিষয় জমির মালিক কৃষ্ণ দত্তের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান এ বিষয় আমি কিছুই জানিনা আমার নামে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ও সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা বানোয়াট কিছু কথা সাংবাদিক ভাইদের কে ভুল বুঝিয়ে লেখালেখি করাচ্ছে, আমি চাই সঠিক তদন্তের মাধ্যমে এর একটি সুস্থ ফয়সালা। এবং চরের ভিতরে সাধারণ মানুষ যেন সুস্থ মতো যার যার জমিতে সে দখল পজিশনে ঘরবাড়ি করে থাকতে পারে এটাই আমার দাবি আমি কোন ঝামেলা জড়াতে চাচ্ছি না,আমি চাচ্ছি সুন্দর একটি ফয়সালা।

জমির বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় জমির মালিকগণ ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন নুর উদ্দীন কয়ালদের মত এরকম নরপশু হিংস্র মানুষ পৃথিবীতে খুব কম আছে, তারা কোন মহিলাদেরকে তাদের হাত থেকে রেহাই দিচ্ছেনা রাস্তা দিয়ে হাঁটা চলার সময় তাদের গায়ে হাত দেয়, এবং বিভিন্ন সময় রাতের আঁধারে ঘরের পিছনে দাঁড়িয়ে থাকে খারাপ মতলব নিয়ে। এই বিষয়ে কোনো জানাজানি হলে তাদেরকে মেরে গুম করে দেবে এ ধরনের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে, দিনে দুপুরে,কেউ ভয়ে মুখ খুলছে না তারা। মারধরের বিষয় স্থানীয় জমির মালিক সাথী বেগম জানান আমরা সাক্ষী দিচ্ছি বলে আমাদের মারধর করে এবং ঘর থেকে টেনে নিয়ে ইজ্জত হানি করবে বলে হুমকি দিচ্ছে, ওদের হুমকির ভয়ে আজও পর্যন্ত কেউ মুখ খুলছে না। আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি,সুন্দর মত নিজের জমিতে বসবাস করতে চাচ্ছি।

জমি জমার বিষয় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা সাংবাদিকদেরকে জানান ভূমিদস্য নুরুদ্দিন কয়াল ও ফারুক কয়াল এর অত্যাচারে অতিষ্ট এলাকাবাসী দিনে দুপুরে আমাদেরকে মারধর করে আমরা ওদের মতো নিরপশুর হাত থেকে বাঁচতে চাই, কেউ মুখ খুলে সঠিক কথা বললে ছাদের উপরে অমানুষিক নির্যাতন ও বিভিন্ন রকম মামলা হামলা হুমকি দিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত, জমিতে ফসল ফালায় আমরা কেটে নেয় তারা এটাই তাদের ক্ষমতার দাপট তারা জানান প্রশাসন আমাদের হাতের মুঠোয় টাকা দিলে সব কিছু সম্ভব।

অভিযুক্ত নুরুদ্দিন কয়াল এর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি স্থানীয় ৪ নং ওয়ার্ড এর মেম্বার মোঃ জসিম খালাসি এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান বিষয়টি হলো জমি জমার এটা অনেকদিন পর্যন্ত ঝামেলা চলে আসছে কাগজ দেখে একাধিকবার সমাধানের চেষ্টা করলেও দুই পক্ষের ভিতরে সমাধানের কথা আসেনি,চাই আইনের সহযোগিতায় সুন্দর একটি ফয়সালা,