
বিবিসি ওয়ান নিউজ
ভোলা প্রতিনিধি
বিএনপি’র নেতা মানিক ওরফে মোল্লা মানিক গং চাহিদা মতো চাঁদা না পেয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেন ভুক্তভোগী পরিবারকে।
গত ১২/৯/২০২৪ইং বৃহস্পতিবার সকালে ছাত্রলীগ নূরনবী, মহিউদ্দিন, বিএনপি’র মানিক ওরফে মোল্লা মানিক সহ অস্ত্রধারী ২০ থেকে ২৫ জন এসে বসতবাড়ি ও পুকুরের মাছ ধরেন তারা।
ভোলা জেলা দৌলতখান উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের কেরানিবাড়ির মানিক, নূরনবী, মহিউদ্দিন, তাদের অস্ত্র মহারায় আতঙ্কে রয়েছেন এলাকার নিরীহ লোকজন।
স্থানীয় লোকজন তাদের অত্যাচার নির্যাতন সহ্য না করতে পেরে, ভোলার নৌ কমান্ডার বরাবর দরখাস্ত করলে পরবর্তীতে অস্ত্রধারী মানিক জানতে পেরে অভিযোগ কারীদের উপরে হামলা এবং মিথ্যা মামলাও করেন।
এ বিষয়ে নসির ফরাজী বলেন আমি বাংলাদেশ জামাত ইসলামের একজন নিরীহ কর্মী। আওয়ামী লীগের ১৭ বছরে তারা আমার উপরে বিভিন্নভাবে অত্যাচার নির্যাতন করে আছেন। তারই ধারাবাহিকতায় স্বৈরাচার সরকার আওয়ামী লীগ পালিয়ে যাওয়ার পরে ছাত্রলীগ ও বিএনপির মোল্লা মানিক এক হয়ে। গত ২৩/৯/২৪ইং তারিখে কোর্টে ১নম্বার আসামি করেন, আমার নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় উল্লেখ্য করেন আমি ১৬ সালে তার কাছে তিন লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেছি এবং চাঁদা না দেওয়ার পরিপেক্ষিতে তার ঘরে আগুন দিয়েছি। এইসব মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাই এবং সঠিক তদন্ত করে বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
এই বিষয়ে স্থানীয় লোকদের সাথে কথা বললে জানা যায়। নসির ফরাজী নিরীহ এবং সততা প্রকৃতির লোক বটে। তার সরলতা পেয়ে একের পর এক মহিউদ্দিন নূরনবী তাদের উপরে নির্যাতন করেন। তারা আরো বলেন নূর নবী মানিক মহিউদ্দিনের অত্যাচার ও নির্যাতন দিন দিন বেড়েই চলছে। যেকোনো লোকের উপরে তারা টার্গেট করে বিভিন্নভাবে অত্যাচার করেন এবং সুন্দরী নারীদেরকে টার্গেট করে নির্যাতনও করেন তারা। এই বিষয়ে কারো কাছে বিচারের দাবি করলে অস্ত্র সন্ত্রাসের লিডার মানিক জানতে পারলে তাদের উপরে প্রকাশ্যে হামলা করেন। এই ভয়তে মুখ খুলতে চাচ্ছেন না অর্ধ এলাকার লোকজন।
নিরীহ লোকের একমাত্র দাবি মানিক নূরনবী মহিউদ্দিন এবং তাদের অস্ত্র বাহিনীকে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। ওই এলাকার নিরীহ জনগণের একমাত্র দাবী হয়ে পড়ছে। চরপাতা ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের শান্তি ও সুশৃংখল দেখতে চান ওই এলাকার নিরীহ জনগণ। এই নিয়ে প্রশাসনের কাছে দাবিও জানান তারা।
তারা আরো বলেন দুর্বৃত্তদের নামে একাধিক অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তাদেরকে গ্রেফতার করেন না প্রশাসন। প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তারা এই ধরনের কর্মকাণ্ড করেন বলে জানা যায়।
এই বিষয়ে দৌলতখান থানার ওসির সাথে কথা বললে তিনি বলেন মানিক ও মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে এবং আমরা তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি।
মানিকের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে মানিক সাংবাদিকদের সাথে কথা বলবেন না বলে জানা যায়। এক পর্যায়ে তিনি সকল অভিযোগ কে অস্বীকার করেন।