চিকিৎসারত অবস্থায় হাসপাতাল থেকে রোগীকে ছিনতাই

চিকিৎসারত অবস্থায় হাসপাতাল থেকে রোগীকে ছিনতাই

চিকিৎসারত অবস্থায় হাসপাতাল থেকে রোগীকে ছিনতাই

বিবিসি ওয়ান নিউজ
স্টাফ রিপোর্টার
ভোলার সদর হাসপাতালে বৃদ্ধ মাকে চিকিৎসারত রেখে, ছেলে মায়ের ওষুধ আনার জন্য বাহিরে বের হলে হাসপাতাল থেকে মাকে ছিনতাই। মাকে পাহারা রত শারমিন বেগম ও তারা বেগম পিং মৃত্যু কবির হোসেন, মাকে নিয়ে কোথায় উধাও হয়ে গেছে। আজও পর্যন্ত খুঁজে পাইনি তাকে।

ভোলা লালমোহন ফরাজগঞ্জ ৬ নং ওয়ার্ড মহিষ খালি আবুগঞ্জ আসমত মেম্বার বাড়ির মৃত আব্দুল কাদেরের স্ত্রী মারফুজা খাতুন, দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পরে তাকে তারই ছেলে মোঃ জাকির মোঃ রুবেল ৩০/০৮/২০২৩ইং রোজ বুধবার অনুমানিক ২ঘটিকায় লালমোহন হাসপাতালে ভর্তি করান। চিকিৎসারত অবস্থায় ঘাতক শারমিন বেগম ও তারা বেগম দুই বোনে মিলে তাকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে যায়। আবারও মা অসুস্থ হয়ে পড়লে থাকে এনে ছোট ছেলে রুবেলের বাসায় রেখে যান।
তাকে আবারও ছেলে রুবেল হাসপাতালে ভর্তি করান। লালমোহন হাসপাতালের ডাক্তার তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে রেফার করেন। ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করান পরে ঘাতক শারমিনওতারা দুই বোন ইতিমধ্যে ভোলা সদর হাসপাতালে আসেন সেখানে এসে বিভিন্ন মাস্তান এবং ক্যাডার ধারা ছেলেদের কে হুমকি দেন। মায়ের ওষুধ কিনার জন্য জাকির বাইরে বের হলে, সেখান থেকে ক্যাডার বাহিনীর সহ ঘাতক শারমিন বেগম এবং তারা বেগম মাকে নিয়ে কোথায় উধাও হয়ে গেছে, আজও খুঁজে পাওয়া যায়নি তার খোঁজ।

জাকির হোসেন সাংবাদিকদের কে জানান ঘাতক শারমিন বেগম ও তারা বেগম, আমার ভাই মৃত্যু কবিরের মেয়ে, তারা আমার আরেক ভাই ঝোটন তার ইন্ধনে তারা এই ধরনের কার্য ক্লাব করেন। মারফুজা খাতুন জমি দলিল না দেওয়ার কারণে তাকে বিভিন্নভাবে দলিল নেওয়ার চেষ্টা করে এবং আমার মা জমি দলিল দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয় এবং গলা চেপে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে। এই বিষয়ে মা আমাদেরকে জানালে আমরা এই বিষয়ে জানার চেষ্টা করলে তারা আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে।

তথ্যসূত্রে জানা গেছে ঝোটন একজন চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, ডাকাত, চোর, হত্যাকারী, ধর্ষণকারী, ভূমিদস্যু, গাজা, ইয়াবা, এমন কোন অপরাধ নাই যে সে কোন অপরাধের সাথে জড়িত নেই। থানা কোটে একাধিক মামলা রয়েছে এই ঝোটনের বিরুদ্ধে। কিছুদিন আগেও একটি ছুরি মামলায় একাধিকবার জরিমানা দিয়েছেন তিনি এবং নদীতে ডাকাতি ইয়াবা সহ গ্রেপ্তার হন তিনি।
আপন ভাইদের সাথে জায়গা জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব করে ভাইদেরকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন এই ঝোটন। ঝটনের এই কর্মকান্ডে তারই আপন ভাই রুবেল বাদী হয়ে জজকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ২৩৯/২৩ এই মামলায় ঝোটনের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি হয়, সেখান থেকে জামিন পেয়ে এলাকায় গিয়ে বিভিন্ন মস্তান এবং গাজাখোরদের সহযোগিতায় ভাইদের উপরে অতর্কিত হামলা চালায়। ওই হামলায় বৃদ্ধ মা সহ্য করতে না পেরে ছেলেদেরকে থামতে বললে।
ঝোটন হত্যার চেষ্টায় মায়ের মাথার উপর আঘাত করে সেখানে মা সরে যাওয়ার কারণে আঘাতটি মায়ের কাঁদে লাগে। ঘটনাস্থলে মা পড়ে গেলে তাকে তড়িঘড়ি করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। লালমোহন থেকে ডাক্তার ভোলা ট্রান্সফার করেন
২৮/০৯/২০২৩ইং তারিখের মারফুজা খাতুন কে ভোলা সদর হসপিটালে ভর্তি করি। ০২/১০/২৩ তারিখে মায়ের ওষুধের জন্য ফার্মেসিতে গেলে ঝোটন ছোটনের স্ত্রী শারমিন বেগম ও তারা বেগম সহ মাকে কোথায় নিয়ে যায় আজও তাকে খুঁজে পাইনি আমরা।

মোঃ রুবেল জানান, দীর্ঘদিন পর্যন্ত শারমিন গং আমার মায়ের কাছ থেকে জমিন দলিল নেওয়ার জন্য বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাচ্ছেন। মা, জমিন দেওয়া রাজি না থাকায় মাকে মৃত্যুর হুমকি দেন, তাকে মেরে তার কাছ থেকে জমিন নিবেন এমন টাই তাকে বলেন। এই কথা মা, আমাদেরকে জানাইলে, আমরা তাদেরকে জিজ্ঞাসা করতে গেলে, তারা মস্তান এবং সন্ত্রাস নিয়ে আমাদের উপরে অতর্কিত হামলা করে এবং আমাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেন। তদন্ত সাপেক্ষে আমরা এটি সুস্থ বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

এই বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায় তারা বলেন আমরা ঝোটনের কথা কি বলবো ঝোটন এমন একজন ব্যক্তি এমন কোন মামলা এবং এমন কোন অপরাধ নেই যে তিনি করেননি। তার ভাতিজি শারমিন বেগম তিনি বিভিন্ন জেলা থেকে বিভিন্ন খারাপ চরিত্রের ছেলেদেরকে এনে দিন রাতভর বাসায় রাখেন এবং তাদের সাথে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হন। এলাকাবাসী প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের নামে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেন।

উক্ত বিষয়ে জানার জন্য শারমিনকে ফোন করলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *