ভোলায় জোরপূর্বক ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ঘরে ডুকে মারধর

ভোলায় জোরপূর্বক ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ঘরে ডুকে মারধর


নিজস্ব প্রতিবেদক
ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব্ ইলিশা ইউনিয়ন এর ১ নং ওয়াড চর আনন্দ এলাকায় মারধরের ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা যায়।
তথ্য গত অনুযায়ী ভুক্তভোগী পরিবার এর সাথে যোগাযোগ করলে ভুক্তভোগী সাথীর বড় বোন সাংবাদিক কে জানান আমার বোন সাথী কে, ভোলা লঞ্চ ঘাট এলাকায় কোস্ট গার্ড অফিস এর পাসে কালামুল্লাহ হাওলাদার এর ২য় ছেলে আমজা হোসেন এর কাছে ইসলামিক শরীয়ত মতে দুই পক্ষের সাক্ষী গনের মতামত নিয় পাঁচ লক্ষ টাকা দেনমোহর করে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নগদ আর ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বাকীতে বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পুর্ন করে।

এরাই ধারাবাহিক আমরা আমাদের সাম্মত অনুযায়ী যতটুকু সম্ভব চাওয়া পাওয়া পূরণ করি বেশ কিছু দিন হলো সাথীর শুশুর বাড়ির সবার সাথে সম্পর্ক খুব ভালো কেটেছে, হঠাৎ করে আল্লাহর হুকুমে সাথীর গর্বে বাচ্চা কনসেপ্ট করার কথা শুনতে পারলে তার স্বামী ও তার উপর অমানুষিক নির্যাতন শুরু করে। বিষয়টি আমার বাবা জানতে পেরে সাথীর শুশুর মোঃ কালামুল্লাহ হাওলাদার এর সাথে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি আমার বাবার সাথে খুব খারাপ আচরণ করে তাদের বাড়ি হতে বেরিয়ে যেতে বলে তা না হলে পরিণাম খুব খারাপ হবে,

এ ধরনের কথা শুনে আমার বাবা সে বাড়ি হতে চলে আসে, চলে আসার বেশ কিছু দিন পরে সাথীকে তার স্বামী তিন লাক্ষ টাকা আমার বাবার বাড়ি হতে আনতে হবে বলে, না আনলে সাথীকে মারধর করে টাকার প্রতিশোধ নেবে, সাথী তার বাবাকে টাকার বিষয়টি না বলতে পারায়, তার স্বামী তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে, এবং বিভিন্ন রকমের বয় দেখায়,এ ধরনের বয় তার মনে ডুকে সাথী তার শাশুড়ী কে বলে আমাদের বাড়ি চলে আসে।

আমাদের বাড়ি চলে আসার পরে প্রারায় বেশ কয়েক মাস কেটে যায়, সাথীর স্বামী আমজাদ হোসেন ফোন করলে ফোনে খুব খারাপ আচরণ করে, তাই আমার বাবা বুঝতে পারে ওরা আমাদের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়, তখন কাজী অফিস সাথীর কাবিন আনতে গেলে দেখে কাবিনে পাঁচ লক্ষ টাকা দেনমোহর নগদ,এ বিষয় কাজীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান আমি কি করব, আমাকে যা বলেছে আমি তাই লেখেছি,আসলে আমরা তো দুই পক্ষের সাক্ষীর মতে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা নগদ আর ২ লাক্ষ ৫০ হাজার টাকা বাকী, এ বিষয় মেয়ের পক্ষে সাক্ষী মোঃ মনির হোসেন এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান ২ লাক্ষ ৫০ হাজার টাকা নগদ আর ২ লাক্ষ ৫০ হাজার টাকা বাকী এ ভাবে কথা হয়েছে, এখন আবার কি হলো।

শুক্রবার বিকেলে আনুমানিক ৩ টা ৩০ মিনিট এর সময় আমি আমার রুমে শুয়ে আছি বাবা মা ও সাথী আমার বোনের বাড়ি যায়,আমার ভাবি আর আমি বাসায় ভাবি পুকুরে গোসল করে, হঠাৎ করে ডাক চিকৎকার দিয়ে সাথী কোথায় বের হও তা না হলে ঘর বাড়ি ভাংচুর করব,তখন আমি শব্দ শুনে রুম হতে বেরিয়ে দেখি আমার বোন সাথীর দেবর এনামুল আমাকে দমক দিয়ে বলে সাথী কোথায় সাথীকে আসতে বল,আমি বললাম সাথী বাড়ি নাই, আমার বোনের বাড়ি গেছে, তখন কথা কাটাকাটি করে হঠাৎ করে আমার বুকে হাত দিয়ে আমার শরীর থেকে টানা হেছরা করে আমার উরনা নিয়ে যায়, এবং আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে,ঘরের ভিতর চোকাস ভাংচুর করে টাকা পয়সা নিয়ে যায়, আমার শব্দ শুনে আসেপাশে লোকজন আসলে এনামুল চলে যায়। আমি এর সঠিক তদন্ত প্রতিবেদন এর মাধ্যমে এর বিচার চাই।
এবিষয়ে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তীর সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানান আসলে এ বিয়েটা হলো সম্পুর্ন জোরপূর্বক, তাই এ ধরনের সমস্যা হয়েছে বলে আমরা মনে করি।
এ বিষয় ভুক্তভোগী সাথীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান আমি এ প্রযন্ত অনেক কস্ট মুখ বন্ধ করে সয্য করেছি আর না ওরা আমাকে মেরে ফেলেছে, এমন হলে কি করে সংসার করব।

অভিযুক্ত মোঃ এনামূল এর সাথে যোগাযোগ এর চেষ্টা করলে তাঁকে পাওয়া যায় নি,তার বড় ভাই আমজাদ হোসেন জানান আমার ভাই আমার ছেলেকে দেখতে গেলে, না পেয়ে কথা কাটাকাটি করে হাতাহাতি হয়েছে বলে আমাকে জানান এনামুল, আমি কাবিন এর বিষয় কিছু জানিনা আমার বাবা জানেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *