
বিবিসি ওয়ান নিউজ
মোঃ আরিফুল ইসলাম
ভোলা প্রতিনিধি
ভোলা দৌলতখান পশু হাসপাতালের মোরে পন্ডিত বাড়ির রফিজুল মিকার এর মেয়ে শারমিন আক্তার বিআরডিবি অফিস থেকে ঋণ দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় এই শারমিন আক্তার বিআরডিবির অফিসে চাকরি করে বিভিন্ন জায়গায় ঋণ প্রদান করেন। তারই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন ইউনিয়ন গ্রাম ও মহল্লায় হেঁটে হেঁটে গ্রুপ করেন তিনি। এক এক গ্রুপ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা নেন তিনি। এই টাকা অফিসে জমা দিয়ে লোন পাস করবেন বলে আশ্বাস দেন ভুক্তভোগী পরিবারকে। ঋণ দিতে না পেরে আত্মগোপনে চলে গিয়েছেন শারমিন।
এই বিষয়ে ভুক্তভোগী, গ্রুপ লিডার দৌলতখান উপজেলা সৈয়দপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মৃত্যু আবু কালামের স্ত্রী মরিয়ম বলেন। শারমিন আক্তার দীর্ঘদিন পর্যন্ত বিআরডিবি অফিসে কাজ করেন এবং বিভিন্ন জায়গায় মানুষকে আর্থিক সহতা ঋণ প্রদান করেন। আমাকেও তিনি সেই ঋণ দেওয়ার কথা বলেন। আমার গ্রুপে থেকে ৩লক্ষ ৮০ হাজার টাকা নেন তিনি। সৈয়দপুর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মরিয়মের কাছ থেকে ৩৫,৫০০হাজার টাকা, দৌলতখান পৌঃ ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মরিয়ম এর কাছ থেকে ১৮,৫০০ টাকা, মুক্তার কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা, মিনারার কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা, ইয়াসমিন এর কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা, সাহিদার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা, মনির কাছ থেকে ১৬,৫০০ টাকা, হনুফা কাছ থেকে ২৪,৫০০ টাকা, আফজালের কাছ থেকে ২০,৫০০ টাকা, শামসুদ্দিন ১২৫০০ টাকা শাহাজান ২৪ হাজার ৫০০ টাকা জসিম ১২৫০০ টাকা আব্দুল্লাহ ২৪ হাজার ৫০০ টাকা শিমুল ১৬৫০০ টাকা শরিফ ১২৫০০ টাকা রহিমা ২০ হাজার টাকা নাসির আহমেদ 19 হাজার টাকা নুরুদ্দিন ২৪ হাজার ৫০০ টাকা মাইনুর ১৮৫০০ টাকা এই সমস্ত টাকা নিয়ে তিনি পালিয়ে যান এবং তার বোন
বলেন একটি গ্রুপ করতে হবে তখন আমি তার পরামর্শে ২৫ জনের একটি গ্রুপ তৈরি করি এই গ্রুপের এক এক সদস্য থেকে ২৫/৩০ হাজার ৩৫ হাজার এই ভাবে টাকা নিয়েছেন। এই টাকা অফিসে জমা দিলে এক সপ্তার ভিতরে ঋণ পাবে ভুক্তভোগী পরিবার।
এই বিষয়ে শারমিনের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
শারমিনের মা জানান আমার মেয়ে টাকা নিয়ে নিজে খাইনি অফিসের জুনিয়র স্যারকে দিয়েছে, এখন আমার মেয়ে জনগণের টাকার চাপে কোথায় গেছে আমরাও খুঁজে পাচ্ছি না, এখন আমরা কি করব।
শারমিনের বাবা রফিজুল মেকার জানান আমার মেয়েকে যখন টাকা দিয়েছে, তখন আমাকে এই বিষয় কিছু জানায়নি। যখন আমার মেয়ে জনগণের টাকার চাপে পালিয়ে গিয়েছে তখন সবাই আমাকে চাপাচাপি করছে আমার মেয়ের কাছ থেকে পাওনা টাকা আমি দেওয়ার জন্য। আমি কি করেই টাকার জামিনদার হবো কারণ আমার মেয়ে তো কিছু আমাকে বলেনি কার কাছে কত টাকা তাও আমি জানিনা আমার মেয়ে আসুক তারপর দেখা যাবে।