ভোলায় শশুর বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল না পেয়ে স্ত্রীকে মেরে মুখে বিষ

ভোলায় শশুর বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল না পেয়ে স্ত্রীকে মেরে মুখে বিষ

বিবিসি ওয়ান নিউজ

ভোলা প্রতিনিধি

শ্বশুরবাড়ি থেকে মোটরসাইকেল দাবি করে মোটরসাইকেল না পেয়ে স্ত্রীকে মেরে স্ত্রীর মুখে বিষ ঢেলে দেন পাষাণ স্বামী।
ভোলা সদর উপজেলা পূর্ব ইলিশা ২ নং ওয়ার্ড রাড়ি বাড়ির রশিদের মেয়ে পুতুলকে তার পাষাণ স্বামী হারুন রাড়ির ছেলে রিয়াজ পিটিয়ে মেরে মুখে বিষ ঢেলে দেন বলে জানাযায়।
বিষ ঢালার আগ মুহূর্তে তাকে ফ্যানের সাথে ঝুলাবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে তাকে ঘর থেকে টেনে হিজড়ে বের করেন পাষাণ স্বামী রিয়াজ।
তথ্যসূত্রে জানাযায়, রিয়াজের সাথে তার স্ত্রী পুতুলের পেমের সম্পর্কের পরে ইসলামী শরিয়া মোতাবেক বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়।বেশ কিছুদিন সংসার জীবন ভালো কাটছিল তাদের। হঠাৎ করে সংসারের ভিতরে এক কালো অন্ধকার এক ভয়াবহ রাত্র চলে আসে। রিয়াজের মাথায় আসে মোটরসাইকেল তাকে মোটরসাইকেল না দিলে স্ত্রীকে তালাক দিবে এমনটাই বলে।
মোটরসাইকেল না পেয়ে স্ত্রীকে প্রায় মারধর করতেন রিয়াজ। মারধরের একপর্যায়ে ৪মাসের অন্তর সত্তা পুতুলীকে খাট থেকে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেয় রিয়াজ। স্ত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বাহিরে বের করলে, পার্শ্ববর্তী লোকজন দেখতে পেয়ে তাকে ভোলা সদর হসপিটালে ভর্তি করেন। চিকিৎসারত অবস্থায় ১২/৪/২৪ইং রোজ শুক্রবার রাত্র আনুমানিক ৯:৩০ মিনিটে ভোলা সদর হসপিটালের ডাক্তার তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
মৃত ব্যক্তির পরিবার ভোলা সদর থানায় অভিযোগ করায় রিয়াজকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসেন ভোলা সদর থানার পুলিশ।
ভোলা সদর থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন এটা আত্মহত্যা না হত্যা সেটা আমরা বলতে পারিনা সেটা নিশ্চিত হওয়ার জন্য লাশ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসলে বলতে পারব হত্যা না আত্মহত্যা আমরা নিচ্ছিত হয়ে অইনগত বেবস্থা নিব।
এই বিষয়ে নুরচেয়ার বেগম বলেন আমি মক্কা শরীফ থেকে হজ্জ করে এসেছি আমি মিথ্যা কথা বলবো না আমি বিষ খাওয়া ব্যক্তিকে দেখতে আসবো না। তখন হঠাৎ করে আমার নাতি মাশরাফি এসে আমাকে বলে নানু সে তো আত্মহত্যা করিনি তাকে মারা হয়েছে তখন মাশরাফি বলেন আমি দেখেছি রিয়াজ তার স্ত্রীকে পিটিয়ে ফ্যান বন্ধ করে ফ্যানের সাথে ঝুলাবার চেষ্টা করেছে। রিয়াজের মা এসে তাকে সরিয়ে দেওয়াই তাকে ফ্যানের সাথে ঝুলাতে পারেনি এবং তাকে খাট থেকে লাথি মেরে নামায় ফেলে দেয়। তখন রিয়াজের স্ত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়ে তখন তাকে ঘর থেকে বাহিরে নিয়ে আসে।তাহলে আমি এটাই বলতে পারি তাকে মারা হয়েছে।

এই বিষয়ে আলিফ বলেন আমার বোনের সাথে প্রায়ই ঝগড়া করত আমাদের ফ্যামিলি থেকে কোন কিছু তাদেরকে দেওয়া হয়নি, তার কারণে এক পর্যায়ে আমরা তাকে একটি অটো রিক্সা দেই।
এখন মোটরসাইকেল দেওয়ার জন্য আমার বোনকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে।আমরা রিয়াজের পুন্ন বিচার চাই।

এই বিষয় রিয়াজের মা বলেন আমার পুত্রা আলিফ এসে আমার ছেলেকে মারধর করায় আমার ছেলের বউ তা মেনে নিতে না পেরে বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে। কারণ তার স্বামীকে তার সামনে মারধর করায় সে তা মেনে নিতে পারেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *