
স্টাফ রিপোর্টার
ভোলা সদর উপজেলা ভেলুমিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র কমিটি নিয়ে বিভিন্ন মতামত প্রকাশ করেন। ভেলুমিয়া ইউনিয়ন বিএনপির ওয়ার্ড লেভেল থেকে শুরু করে কমিটির ত্যাগী নেতারা অনাস্থা প্রকাশ করেন।
তারা আরো বলেন ভেলুমিয়া ইউনিয়নে আমরা বিগত দিন পযন্ত, আওয়ামী লীগের ১৪ বছর, বিভিন্ন মামলা এবং ঘরবাড়ি অর্থ সম্পদ হারিয়েছি কিন্তু আমরা আজকে ভেলুমিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র কোন পথ পজিশন পাইনি। আর যারা বিএনপি’র কমিটিতে এসেছেন তারা বিগত দিন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সাথে লেজু করে চলছে এবং আজও পর্যন্ত দলের জন্য তারা কোন প্রকারের ত্যাগ স্বীকার করেননি। এখন পর্যন্ত তাদের ডাকে সারা দেননি তৃণ্যমূলের নেতাকর্মীরা।
তারা আরো বলেন আমরা জানি বিগত দিন পর্যন্ত ভেলুমিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইউনুস কমান্ডার কমিটির প্রত্যেক সদস্যের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে পথ পজিশন দিয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের ১৪ বছরে, বিএনপি’র কোন লোকের সাথে যোগাযোগ রাখেননি।এমনকি তার বাসায় ও বিএনপির নেতাকর্মীরা নিরাপদ ছিল না। আওয়ামী লীগের সাথে লেজু করে চলেছেন নিয়মিত। নুর ইসলাম কুট্রির কাছ টাকা নিয়ে তাকে সাধারণ সম্পাদক পথ দিয়েছেন। তিনি কখনো বিএনপির সাথে ছিলেন না। হঠাৎ করে এসে তিনি ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদকের পথ দখল করেন। এইভাবেই চলছে সদস্য বাণিজ্য। ইতিমধ্যে ওয়ার্ড কমিটির কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিচ্ছেন বলে জানা যায়। মোঃ জাকির হোসেন পাটোয়ারী ইউনিয়ান সিনিয়র সহ-সভাপতি তার খোজ খবর নিয়ে জনাযায় তিনি একজন ভূমিদস্যু এবং খারাপ চরিত্রের লোক বটে। দীর্ঘদিন পর্যন্ত তাকেও পাওয়া যায়নি বিএনপি’র কোন আন্দোলন সংগ্রামে। আজ তিনি দায়িত্ব নিয়ে বসে আছেন। মোঃআনোয়ার যুগ্মসম্পাদক মোঃ সপন যুগ্মসাধারন সম্পাদক মোঃ কামাল সাংগঠনিক সম্পাদক পথ পেয়েছেন। তারা বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগের সাথে যোগ দিয়ে বিএনপির বিভিন্ন কর্মীর উপরে আক্রমণ চালায় এবং বিএনপির নিরীহ কর্মী তাদের কাছেও নিরাপদ ছিল না। আজ তারা বিভিন্ন পথ প্রদর্শন নিয়ে বসে থাকে কিন্তু যারা বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে নির্যাতিত ছিলেন তারা আজ কোন পথ পজিশনে পাননি।
তাদের মধ্যে আছেন
(১)আব্দুল জলিল পুলিশ (২)আঃ রবখান (৩)আঃমালেক কাজী( ৪)মোঃ মাহবুব (৫) মোঃ নজরুল ইসলাম( ৬) মোঃ মহিউদ্দিন ডা,এবং আরো অন্যান্যরা
বিএনপির দুর্দিনে এবং আওয়ামী লীগের ১৪ বছরের নির্যাতনে শিকার হয়ে আছেন, বাড়িঘর অর্থ সম্পদ সব হারিয়ে একেবারেই নিঃস্ব হয়ে গিয়েছে তারা। মামলা হামলা এবং কঠোর নির্যাতনের ভিতর দিয়ে বিএনপির বিভিন্ন ডাকে সাড়া দিয়ে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রাম করে চলছেন।
কিন্তু আজ এই ব্যক্তিরাই ইউনিয়নের কোন পদ পজিশনে নেই। কেন নেই জানতে চাচ্ছেন বিএনপি’র বিভিন্ন স্তরের ওয়ার্ড ও ইউনিটের দায়িত্বশীলগন। বিএনপির ত্যাগী নেতা মোঃ নজরুল ইসলাম আওয়ামী লীগের ১৪ বছরের বিভিন্ন নির্যাতনের শিকারের পরেও আজও বিএনপি’র সক্রিয়ভাবে কাজ করে চলছে। ভেলুমিয়া ইউনিয়নে বিভিন্ন রাস্তায় পথে-ঘাটে অলিতে গলিতে মানুষের ঘরের সামনে গিয়ে, একমাত্র বিএনপির স্লোগান দিয়েই চলছেন এই নেতারা। ভেলুমিয়া ইউনিয়নের জনগণ তাদেরকে ছাড়া আর কাউকে ভাবতেই পারছেন না তেমনটাই লক্ষ্য করা গেছে।
নতুন কমিটি ঘোষণা করার পর ভেলুমিয়া ইউনিয়নের একের পর এক প্রতিবাদের মিছিল এবং তাদেরকে বয়কটের মিছিল করে চলছে এবং লক্ষ্য করা গেছে তাদের ভিতরেই নাকি রক্তের হানাহানি সম্বাবনা রয়েছে, বিভিন্ন ভাবে কঠর নির্যাতনের শিকার হতে পারে। তাদের এই কর্মে কাণ্ডে বিএনপির নিম্নমানের কর্মীরাও আতঙ্কে থাকেন। যাদের হাতে বিএনপির কর্মীরা কখনোই নিরাপদ ছিলেন না এখনও নিরাপদ থাকবেন।তেমন বিশ্বাস করতে পারছেন না নিরীহ কর্মীরা।
সকলের একটাই দাবি ভেলুমিয়া ইউনিয়ন কমিটি বিলুপ্ত করে, নতুন কমিটি জনগণের চাহিদা মোতাবেক ঘোষণা করা।