
বিবিসি ওয়ান নিউজ
নিজস্ব প্রতিবেদন
হেফজ খানার হাফেজ সাহেব জোরপূর্বক কল কৌশলে রাত্র গভীরে বিছানা থেকে ডেকে নিয়ে বাথ রুমের সামনে বলাৎকার করেন হাফেজ ইসমাইল।
ভোলা সদর উপজেলা বাপ্তা মুসা কান্দি দারুল কোরআন ঈদগা মাদ্রাসায় গত ৭/১১/২৩ইং রোজ বুধবার রাত্র অনুমানিক ১.৩০মিনিটে হাফেজ ইসমাইল তারই ছাত্র শামীমকে স্বকৌশলে রাত্র গভীরে বাথরুমের সামনে ডেকে নিয়ে তার সাথে বলাৎকার করেন বলে জানা যায়।
তথ্য সুত্রে জানা যায় শামীম একজন হেফজখানার ছাত্র দীর্ঘদিন পর্যন্ত ভোলা একটি হিফজ মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেন। পরে দারুল কুরআন ঈদগাহ মাদ্রাসায় হিফজ খানায় ভর্তি হয়।
মাদ্রাসা ঠিকমতো না থাকার কারণে শামীমকে শিকল ধারা বেধে রাখেন মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ।
এই বিষয়ে শামীম বলেন আমি রাত্রে শুয়ে থাকলে ইসমাইল হাফেজ সাহেবে আমাকে ডেকে ভাত রুমের সামনে নিয়ে যায় সেখানে আমার লুঙ্গি খুলে ফেলে আমার সাথে খারাপ কাজ করেন।
শামীমের মা বলেন আমি ছেলে দেখার জন্য মাদ্রাসায় যাই ছেলের সাথে কথা বলার সাথে সাথে ছেলে আমার দুই পায়ে ধরে কেঁদে দেয়। বলে মা হাফেজ সাহেবের আমার সাথে রাত্রে খারাপ কাজ করেছে, ছেলে আরো বলেন মা আমার পায়খানার রাস্তায় ব্যথা করছে। পরে আমি তাকে বাজার থেকে ওষুধ নিয়ে দেই ব্যথা কমার জন্য। কিন্তু কোন রকমেই ব্যথা কমছে না। আমি এই ধরনের লম্পট কুলংগার হাফেজের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আপনাদের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবী করছি।
লম্পট, কুলংগার, দূর চরিত্র কারী, হাফেজ ইসমাইল বলেন শামীমের পরিবার আমার নামে মিথ্যা অপবাদ দেন। যেই দিন রাত্রে ঘটনা ঘটে সেই দিন মাদ্রাসায় আটজন ছাত্র থাকেন তখন সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন। আমি তার চেয়ে সুন্দর ছাত্র রেখে তার কাছে যাব এটা কেমন করে হয়। এই ছাত্র পড়ালেখার চাপে আমার নামে বদনাম ছড়াচ্ছে। আমি এর তীব্র নিন্দা এবং সঠিক বিচারের দাবি জানাচ্ছি। আমার নামে এই ধরনের অপবাদ দেওয়ার কোন বিচার না পেলে। আমি তার পরিবারের নামে মানহানি মামলা দিব।
স্থানিয়ো মেম্বারের সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেননি এবংঅভিযোগ না করলে আমার জানার কোন প্রাজন নেই, এই বিষয় আমি কিছু জানিনা।
স্থানিয়ো ছিদ্দিক পাটারি বিষয়টি দামা চাপা দেয়ার চেষ্টা করেন বলে জানা যায় ।