বিবিসি ওয়ান নিউজ

বাংলাদেশকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে আলোচনায় সারাদেশ। সম্প্রতি মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস মন্তব্য করেছেন নির্বাচনের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করা হলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে। এই তালিকায় রয়েছে গণমাধ্যমও। এরপর থেকেই আলোচনা শুরু হয়েছে কোন গণমাধ্যম নিষেধাজ্ঞায় আসতে পারে।

তবে গণমাধ্যমের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপ নতুন কিছু নয়। গত বছরই তিনটি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল বাইডেন প্রশাসন। এর মধ্যে ইরান ও রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম রয়েছে।

২০২২ সালে ইরানে পুলিশের হেফাজতে মাহসা আমিনি নামের তরুণীর মৃত্যুকে কেন্দ্র যে বিক্ষোভ গড়ে উঠেছিল তা নিয়ে বিভ্রাান্তিকর সংবাদ প্রকাশের অভিযোগে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান ব্রডকাস্টিংয়ের (আইআরআইবি) ছয় কর্মকর্তা এবং সাংবাদিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় বাইডেন প্রশাসন। আইআরআইবির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, বিক্ষোভে নিহতদের পরিবারকে হয়রানি এবং মৃত্যুর কারণ লুকানোর চেষ্টা করেছিল ওই গণমাধ্যম। নিষেধাজ্ঞার অংশ হিসেবে ওই ছয় কর্মকর্তার বিদেশে থাকা সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে তাদের প্রবেশ, বিনিয়োগ কিংবা ব্যবসা পুরোপরিভাবে নিষিদ্ধ করা হয়।

প্রপাগান্ডার অভিযোগ তুলে ওই একই বছর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় ইরানের সংবাদমাধ্যম ফার্স ও তাসনিম নিউজ এজেন্সির ওপরও। এই দুটি গণমাধ্যমের কর্তাব্যক্তিরাও যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ, বিনিয়োগ কিংবা ব্যবসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন এবং বিদেশে থাকা তাদের সম্পদ জব্দ করা হয়।

এ ছাড়া গত বছর ইউক্রেনের রুশ আগ্রাসনের পর পর মস্কোর শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেয় বাইডেন সরকার। এর মধ্যে ছিল গণমাধ্যমও। ক্রেমলিনভিত্তিক গণমাধ্যম চ্যানেল ওয়ান, রাশিয়া ওয়ান এবং এনটিভির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এর প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব চ্যানেলে প্রতি বছর প্রায় ৩০ কোটি ডলারের বিজ্ঞাপন আসতো যুক্তরাষ্ট্র থেকে। নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণে এটি বন্ধ হয়ে যায়।

ইরান ও রাশিয়ার মতো বৈরি দেশের বাইরেও গত বছর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল আলবেনিয়ার গণমাধ্যমের ওপর। দেশটির টিভি চ্যানেল ওরা নিউজ, আরটিভি ও চ্যানেল ওয়ানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় ওয়াশিংটন।

এর আগে গত বছরের শুরুতে বসনিয়ার একটি মিডিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার প্রেসিডেন্সি সদস্য মিলোরাড ডোডিক ও তার মালিকানাধীন সংবাদমাধ্যমের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা দেয় তারা।