
বিবিসি ওয়ান নিউজ
নিজস্ব প্রতিবেদনঃ পূর্ব ইলিশা ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ড,পূর্ব চার আনন্দ, জামে মসজিদ কর্তৃক ‘সিরাতুন্নবী (সা:) আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট আলেমে-দ্বীন,ভোলা দারুল হাদিস কামিল মাদ্রাসা’র প্রভাষক,মাওঃ ফজলুল করীম সাহেব,বিশেষ অতিথি আরিফুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন,অর্থ মসজিদের মুহতারম খতিব মাওঃ নরুন্নবী সাহেবএবং সার্বিক তত্ত্বাবদায়ন করেন মাও:ইউছুফ সাহেব,মাষ্টার রফিক সহ প্রমুখ।
প্রদান অতিথী বলেন…মুহাম্মদ সঃ এর মতো ইতিহাসে এমন কীর্তিমান রাষ্ট্রপ্রধান আর দ্বিতীয়টি দেখা যায় না। তিনি সুশাসন নিশ্চিত করতে ১৯টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ স্থাপন করেছিলেন। তিনি প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন ও নাগরিক পরিষেবা বিভাগকে ঢেলে সাজিয়েছিলেন। ফলে সদ্য প্রতিষ্ঠিত মদিনা রাষ্ট্র হয়ে উঠেছিল ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র।

……#আজ আমাদের মাঝে তিনি নেই। তাতে কি হয়েছে? রাসূলুল্লাহ সা:-এর সিরাত অর্থাৎ ৬৩ বছরের জীবনী তো আছে? তাঁর সিরাত সম্পর্কে আল্লাহপাক পবিত্র কোরআনের সূরা আহযাবের ২১ নম্বর আয়াতে ইরশাদ করেন, ‘তোমাদের মধ্যে রাসূলুল্লাহর জীবনে রয়েছে সর্বোত্তম আদর্শ।’ সূরা নূরের ৫৪ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, ‘যদি তোমরা রাসূলকে অনুসরণ কর, তবেই তোমরা সত্যপথের সন্ধান পাবে।’ জেনে রাখা দরকার, রাসূল সা:-এর অনুসরণ ব্যতীত ইহকালে ও পরকালে নাযাত পাওয়া নিতান্তই দূরূহ ব্যাপার।’
বিশেষ অতিথি বলেন, “রাসূলুল্লাহ সা:-এর অনুসরণের মাঝেই সকল প্রকার সাফল্য নিহিত রয়েছে। এ সর্ম্পকে আল্লাহ তায়ালা সুরা আহযাবের ৭১ নম্বর আয়াতে ইরশাদ করেন, ‘যে আল্লাহর আনুগত্য করে এবং রাসূল রা:-এর অনুসরণ করে, সে অবশ্যই মহাসাফল্য লাভ করবে।’ রাসুলুল্লাহ সা: বলেন, ‘আমার উম্মতের সকল লোকই জান্নাতী হবে, অস্বীকারকারী ব্যতীত।
জিজ্ঞেস করা হলো, ‘হে আল্লাহর রাসূল সা:! অস্বীকারকারী কে?’ উত্তরে তিনি বলেন, ‘যে আমার অনুসরণ করবে সে বেহেশতে প্রবেশ করবে, আর যে আমার নাফরমানী করবে সে অস্বীকারকারী।’ রাসূলুল্লাহ সা:-কে অনুসরণের অর্থ হলো তার আদর্শ গ্রহণ করা, ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাষ্ট্রী জীবন থেকে নিয়ে সর্বক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ সা:-এর আদর্শ মেনে চলা। আমাদের সমাজ আজ রাসূল সা:-এর আদর্শ থেকে সরে এসেছে।
আল্লাহপাক আমদেরকে ব্যক্তি জীবন থেকে নিয়ে রাষ্ট্রীয় জীবনসহ সর্বক্ষেত্রে রাসুলুল্লাহ সা:-এর আদর্শ অনুসরণের তাওফিক দান করুন, আমিন।’