
বিবিসি ওয়ার নিউজ
কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ পুলিশের সাথে আহত এবং নিহতের সংখ্যা অনেক
এ নিয়ে দীর্ঘ অনেকদিন ধরে চলছে রাজপথে আন্দোলন পুলিশের গুলিতে পথযাত্রী শিশু বৃদ্ধ আন্দোলনকারীদের অনেক সদস্য মারা যান।
ধীরে ধীরে আন্দোলন তীব্রতার রূপ নিয়েছে এবং সরকার ভিন্ন কৌশলেও আগাচ্ছেন।
সরকারের কৌশলের সাথে সাথে আন্দোলনকারীদের রূপরেখা পাল্টিয়ে তারাও ভিন্ন কৌশল এবং বিভিন্ন দফা দাবিও জানান রাজপথে।
সর্বশেষ বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলনের তীব্রতা এবং অসহযোগী আন্দোলন জেলায় পাড়া মহল্লায় গ্রামগঞ্জে ও করার ঘোষণা দেন তারা।
এবং অন্যদিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও এক দফা দাবি নিয়ে মাঠে আছেন।
ছাত্র সমাজের কাছে জানা যায় তারা বলেন স্বৈরাচারী সরকার দিন দিন জুলুম অত্যাচার নির্যাতন এবং যুদ্ধের প্রস্তুতিও নিচ্ছেন বাংলাদেশের নিরীহ জনগণের সাথে।
আমাদের আর কোন কোটার দরকার নাই আমাদের একমাত্র দাবী আমাদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশকে আবারো একবার স্বাধীন করতে চাই। অন্যায় অত্যাচার থেকে আমরা মুক্ত হতে চাই আর কত মায়ের কোল খালি করে রক্তপিপাসু সরকারের রক্ত প্রয়োজন আছে, আমরা রক্ত দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি।
এই অত্যাচারীর স্বৈরাচারী শাসক আমাদের ভাইদেরকে নির্বিঘে হত্যা করে এবং হাজার হাজার ভাই বোন কে গুলি করে মারা হয়েছে। হাজার হাজার ভাই বোনকে আহত করেছেন।
সরকার প্রশাসন দিয়ে টিকে থাকতে চাচ্ছে। আমরা ছাত্র সমাজ শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতেছিলাম। সেই সমাবেশে রক্ত পিপাসু সরকার তার সন্ত্রাস বাহিনী দিয়ে আমাদের উপরে গুলিবিদ্ধ করে আমাদের ভাইদেরকে শহীদ করেছেন।
অনেকে বলেন বিচার চাওয়ার জন্য।আমরা বলি কার কাছে বিচার চাবো। এই রক্ত পিপাসু সরকারের কাছে। তিনি নাকি তার কাছে সমঝোতার জন্য যাওয়ার কথা বলেন কিন্তু এমনও দেখেছি তার কাছে সমঝোতার জন্য যেতে গিয়ে আমাদের অনেক ভাই গুম হয়েছেন। অনেক ভাইকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠিয়েছেন এবং অনেক ভাইকেও অন্যায়ভাবে ডিবি অফিসে রেখে তাদেরকে দিয়ে অবৈধভাবে আন্দোলনের বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন। আমরা নাটক বুঝে গিয়েছি আর নয়, আপনার নাটকে পা দিবে না ছাত্র সমাজ।