হাসপাতালে লালন পালন করছেন গ্রাম্য পদ্ধতিতে বিভিন্ন পোকামাকড়ের

হাসপাতালে লালন পালন করছেন গ্রাম্য পদ্ধতিতে বিভিন্ন পোকামাকড়ের

বিবিসি ওয়ান নিউজ

নিজস্ব প্রতিবেদন ভোলা সদর হাসপাতালের বেহালদশা। পোকামাকড়ের অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে দূর দূরান্ত থেকে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীরা।
দ্বীপ জেলা ভোলার বিভিন্ন উপজেলা ও থানার হাসপাতাল থেকে রেফার করা রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হলে, রোগীকে তার বেডে দিলে, কিছুক্ষণ পরে রোগী উধাও হয়ে যাচ্ছে সেই বেড থেকে, আবার ভর্তি হচ্ছে নতুন নতুন রোগী।
কিছুক্ষণ পরে দেখা গেল রোগিরা নেই ওই বেডে, এখন খালি পড়ে রয়েছে ওই বেডগুলো।
পালাতক রোগীদের কাছে জানা যায় তারা বিবিসি ওয়ান নিউজকে জানান। আমরা যখন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে বেডে যাচ্ছি, তখন দেখা গেছে। শুধু রোগী নয়, রোগীর দেখাশুনা করার জন্য, যে সুস্থ মানুষটি থাকে, তাকেও খাচ্ছে ছারপোকা আর তেলাপোকায়।
হাসপাতালের নতুন ভবনের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরে দেখা মিলল ছারপোকা আর তেলাপোকা। শুধু তাই নয়, চতুরপাশ থেকে আছে দুর্গন্ধ আর দুর্গন্ধ।
তেলাপোকা ও ছারপোকা আর ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধ তখনই আসে। যখন ডাক্তারের অভাব পূরণ করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কর্মীরা।
ভোলা সদর হসপিটালের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কর্মীরা ডাক্তার হয়ে কাজ করছেন এটা নতুন কিছু নয়।
ডাক্তারেরা সময় পেলেই যাচ্ছেন অতিরিক্ত উপার্জন করার জন্য ডায়াগনস্টিক সেন্টারে।
ডাক্তারদের পিছনে দাঁড়িয়ে থাকছেন, এক গ্রুপ দালাল চক্র। তারা নিয়ে যাচ্ছেন তাকে ডেকে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের। হাসপাতালে ভর্তি হলে ডাক্তার সেখানেও বলে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আসুন। সেখানে সময় দিয়ে সুন্দর করে রিপোর্ট দেখা হবে।
গত ০১/০৬/২৪ইং রোজ শনিবার রাত্র অনুমানিক ১০:৩০ মিনিটে,ভোলা সদর হাসপাতালের নতুন ভবনের ষষ্ঠ তালায় মেডিসিন ওয়ার্ডে, বিশেষ ইমারজেন্সি কিছু রোগী ভর্তি হলে তারা নার্সের বিভিন্ন সহযোগিতা এবং পরামর্শের জন্য, নার্স খুঁজতে খুঁজতে পাগল হয়ে যাচ্ছেন রোগীর পরিবার। খুঁজে যাচ্ছে না নার্সের সন্ধান। কোথায় গেল হারিয়ে তাও খোঁজ পাওয়া গেল না তাদের।

চিকিৎসা সেবায় যারা নিয়োজিত রয়েছেন মনে হচ্ছে। সরকার তাদেরকে জোর করে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত করেছেন। সেই উদ্দেশ্যে তারা রোগীদের সাথে খারাপ ব্যবহার এবং রাগ করে হাসপাতাল ত্যাগ করে যাচ্ছেন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এবং করছেন আউট ধান্দা।
যতক্ষণ পর্যন্ত নিজের দায়িত্ব, দায়িত্ব মনে করবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত চিকিৎসা সেবা, কখনই পরিপূর্ণ সেবা রোগীরা পাবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *