১০ বছরের শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন লোকমান নামে এক বৃদ্ধ

১০ বছরের শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন লোকমান নামে এক বৃদ্ধ

বিবিসি ওয়ান নিউজ
নিজস্ব প্রতিবেদন
১০ বছরের শিশু আঁখিকে জোরপূর্বক স্বকৌশলে রাত্র গভীরে ধর্ষণের চেষ্টা চালান বলে জানা যায়।
ভোলা সদর উপজেলা ধুনীয়া ইউনিয়ন ১নং কানাই নগর উড়ার হাট বাজার সংলগ্নে ভেরির পাশের বাসা মোঃ হারুনের মেয়ে আঁখি দীর্ঘদিন পর্যন্ত লোকমানের বাসায় লোকমানের ছোট্ট মেয়ের সাথে থাকতেন।

প্রতিদিনের মতো গত ৩০/১০/২৩ইং রোজ সোমবার রাত্র অনুমান ১১ টা ৩০ মিনিটে তার মেয়ের সাথে ঘুমাতে আসেন আঁখি। ঘরে থাকার টিভি দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পড়েন ছোট্ট শিশু মনি আঁখি।
খারাপ লম্পট কুচরিত্রর লোকমান সুযোগ খুঁজে ওঁৎ পেতে বসে থাকেন কখন ঘুমায় তারা। তারা ঘুমিয়ে পড়ার সাথে সাথে আঁখির গায়ের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েন লম্পট লোকমান।

ছোট্ট শিশু মনি আঁখি বলেন রাতে আমি এবং তার মেয়ে টিভি দেখে ঘুমিয়ে পড়েছি। হঠাৎ করে লোকমান দাদা আমার লজ্জাস্থানে স্পর্শ করেন, আমি ঘুম থেকে উঠে গেলে আমার বুকের উপরে ওঠে মুখ চেপে ধরেন। তখন আমার পাশে থাকা তার মেয়ে ঘুম থেকে উঠে যায় এবং তিনি আমার কাছ থেকে চলে গেলে, আমি কান্না করে তাদের বাসা থেকে বের হয়ে চলে আসি, তখন আমার মাকে আমি বলেছি।

আঁখির আম্মা বলে আমার ছোট মেয়ে রাত্র গভীরে কান্না করতে করতে বাসার দরজা পেটাচ্ছে। আমি আলাপ পেয়ে ঘুম থেকে উঠলে মেয়েকে কান্নারত অবস্থায় দেখতে পাই। আমাকে দেখে আরো জোরে কান্না করছে, তখন মেয়েকে জিজ্ঞাসা করলে মেয়ে আমাদেরকে জানান লোকমান দাদা আমার লজ্জা স্থানে স্পর্শ করছে এই বিষয়ে আমি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলে তারা আমাকে বলেন যা হয়েছে এটা আমরা বসে মীমাংসা করব, বেশি জানাজানি করা ঠিক হবে না।

এই বিষয়ে লোকমানের স্ত্রী বলেন বাসায় আমিও ছিলাম ঘটনাটি আঁখি বলেছে, তখন আমি আমার স্বামীকে জিজ্ঞাসা করেছি। আমার স্বামী বলেন রাত্রে তাদের গায়ে থাকা কম্বল মাটিতে পড়ে গিয়েছিল আমি কম্বলটি তাদের গায়ে উঠিয়ে দিয়েছিলাম হয়তো তখন ওর লজ্জা স্থানে স্পর্শ হতেও পারে কিন্তু বিষয়টি আমার ইচ্ছা ক্রমে হয়নি। আমরা বিষয়টি বসে মীমাংসা করবো বলছি কিন্তু এখন দেখেছি সবাই জেনে গিয়েছে এবং আমার স্বামী চায়ের দোকান করে আমরা তার ওপরে নির্ভরশীল কিন্তু এখন দোকানটিও করতে পারছে না।

লোকমানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে লোকমান পালিয়ে গেছে এমনটাই জানা যায়। কোথাও পাওয়া যায়নি লোকমানের খোঁজখবর। স্ত্রী বলেন সে কোথায় আছে সেটা আমি জানিনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *